আমলকি
ঔষধি গুণ
আমলকী সবারই পরিচিত একটি ফল। এ ছাড়া এটি সকলের ক্রয়ক্ষমতার মধ্যে এবং খুবই পুষ্টিকর।
১। বাচ্ছাদের ঠান্ডা-কাশি প্রতিরোধে এ ফল খুবই উপকারী।
২। ত্রিফলা অর্থাৎ আমলকী,
হরীতকী ও বহেড়ার প্রতিটির সমপরিমাণ গঁড়ার শরবত কোলেষ্টোরল কমাবার অর্থাৎ প্রেসার বা রক্তচাপ কমাবার মহৌষধ। এক ওষুধ গবেষক দলের মতে আধূনিক যে কোনো অ্যালোপ্যাথিক ওষুধের তুলনায় ত্রিফলা কোলেষ্টেরল কমাবার ক্ষেত্রে অনেক বেশী ফলপ্রসূ। এ গবেষক দলের নেতা হচ্ছেন ইন্ডিয়ান প্রখ্যাত কার্ডিওলজিষ্ট মি.
পি. ঠাকুর এবং দলে রয়েছেন পাটনা মেডিকেল কলেজের ডাক্তার প্রভাত কুমার সিন্হ এবং এম সিং। তাদের মতে দ্রব্যগুণের দিক দিয়ে হরীতকীই সর্বশ্রেষ্ঠ,
দ্বিতীয় স্থানেই রয়েছে আমলকী এবং তৃতীয় স্থানে বহেড়া।
সমপ্রতি এদের গবেষণাপত্র আমেরিকার একটি আন্তর্জাতিক জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে। তাদের মতে ত্রিফলা শুধুমাত্র কোলেষ্টেরলই কমায় না বরং এতে প্লীহা এবং যকৃতেরও বিশেষ উপকার হয়।
৩। আমলকীর ফল ভিটামিন-সি
সমৃদ্ধ
(JSIR,1962) এটি মূত্রবর্ধক,
বায়ুনাশকও বিরোচক হিসেবে কাজ করে। এবং যে কোন কারণেই হোক ঘুম না হলে,
পেট ফাঁপা বা অম্ল নিরাময়ে,
চোখ ওঠা রোগে,
পিত্ত বেদনায়,
বমি বন্ধ করতে,
শ্বেতপ্রদর রোগ হলে,
অর্শ, ডায়রিয়া, আমাশয়, রক্তস্বল্পতা, জন্ডিস ও ত্বকের সমস্যায় কাজ করে। এছাড়া আমলকীর ফুলও ঠান্ডাকারক ও বিরোচক হিসেবে কাজ করে।
চন্দন/শ্বেত চন্দন
ঔষধি গুণ
প্রাচীন ভারতীয় ইতিহাসে শ্বেত চন্দন ব্যবহার স্বর্গে আরোহণ ও পুণ্য অর্জনের উপায় হিসেবে বিবেচিত হত। প্রতিদিন নারায়ণ পূজার শরীর চন্দনের ফোঁটায় চর্চিত করা ছিল নৈমিত্তিক প্রথা। সামপ্রতিক কালেও পূজা-অর্চনা চন্দনের ফোঁটা ছাড়া শুদ্ধ হয় না। অপরপক্ষে চন্দন ছাড়া আয়ুর্বেদশাস্ত্রের কথা ভাবা যায় না।
রক্তপাত ও মাথা ধরা কমাতে এবং ঘামাচি ও ব্রঙ্কাইটিস সারাতে মূলত শ্বেত চন্দন ব্যবহৃত হয়। বসন্ত রোগ,
বমি বমি ভাব নিরাময়ে,
হিক্কা ওঠা বন্ধ করতে,
প্রস্রাবের জ্বালাপোড়ায় ঢেঁকিছাঁটা চাল ধুয়ে সেই পানিতে শ্বেত চন্দন ঘষে তার সঙ্গে একটু মধু মিশিয়ে খেলে প্রস্রাবের জ্বালা-যন্ত্রণা অথবা আটকে যাওয়া কিংবা রক্ত প্রস্রাবেও সুফল পাওয়া যায়।
আড়হর
ঔষধি গুন
১। আড়হরের প্রধান ব্যবহার ডায়াবেটিস ও জন্ডিসের নিরাময়ে। জন্ডিসের প্রথম অবস্থায় পাতার রস ৩/৪ চামচ একটু গরম করে খেলে ভালো উপকার পাওয়া যায়।
২। ডায়াবেটিসে আড়হর পাতার রস একটু গরম করে খাবেন অথবা মূল ৮-১০
গ্রাম ছেঁচে দুই কাপ পানিতে সিদ্ধ করে আধা কাপ থাকতে নামিয়ে ছেঁকে খেলে বেশি উপকার হয়।
৩। পিত্ত-শ্লেষ্মাজনিত কাশিতে আড়হর পাতার রস ৭/৮ চামচ একটু গরম করে এক চামচ মধু মিশিয়ে খেলে কাশি কমে যায়।
৪। অরুচি যত পুরোনোই হোক না কেন,
আড়হর ডালের জুস অল্প আদা ও মরিচ বাটা দিয়ে সাঁতলে তার সঙ্গে পরিমাণমতো লবণ মিশিয়ে বারে বারে একটু একটু করে খেতে হবে।
৫। জিহ্বার ক্ষতে কয়েকটি কচি পাতা ভালো করে ধুয়ে অল্প থেঁতো করে নিয়ে সেটা আস্তে আস্তে চিবাতে হবে। এভাবে ২/৩ দিন করলে ক্ষত সেরে যাবে। তবে এ সময় একটু জ্বালা করতে পারে।
৬। হাতে-পায়ে জ্বালা রোধ হলে আড়হর পাতার রস হাতে-পায়ে মেখে ঘন্টাখানেকে পরে ধুয়ে ফেললে উপকার পাওয়া যায়।
৭। সাপের দংশন ও ফোলা-প্রদাহে আড়হর বিচি বাটা প্রলেপ ব্যবহার করা হয়
(Ghani, 2003),
শিমুল/শিল্মলী
ঔষধি গুণ
শিমুল সাধারণত কাজ করে রক্তনালীতে ও মুত্রনালীতে কাজ করে।
১। যৌবনে শুক্রাল্পতায় ৮/১০
গ্রাম কচি শিমুল মূল একটু চিনি দিয়ে দুই বেলা খেলে অসুবিধা সেরে যাবে।
২। প্রৌঢ়ে যৌন সংসর্গে অপ্রতিভ হলে কচি শিমুল মূল চাকা করে কেটে শুকিয়ে গুঁড়া করে দুই গ্রাম আন্দাজ গুঁড়া এক কাপ গরম দুধে মিশিয়ে খেতে হবে। তা হলে ঐ অসুবিধা দূর হবে। (
Ghani, 2003)
৩। হঠাৎ শ্লেষ্মা ও রক্তযুক্ত আমাশয় দেখা দিলে এক থেকে দেড় গ্রাম শিমুল মোচরসের
(শিমুল গাছের গুঁড়ি থেকে এক রকম নির্যাস
(আঠা) বের হয়,
সেটিই মোচরস। এটি শুকিয়ে বাজারে বিক্রি হয়।) গুঁড়া ছাগলের দুধ বা পানিসহ দুবেলা খেলে ২/১ দিনের মধ্যেই রক্ত পড়া তো বন্ধ হবেই,
আমাশয়ও উল্লেখযোগ্যভাবে কমে যাবে।
৪। পানি খেলেও পিপাসা যাচ্ছে না,
এমন হলে ৬/৭ গ্রাম পাতার ডাঁটা একটু থোঁতো করে এক গ্রাম পানিতে একটু ভিজিয়ে রেখে চটকে সেটাকে ছেঁকে ২/৩ বার খেলে পিপাসার টান কমে যাবে।
৫।লোম ফোড়ায় শিমুল ছাল বেটে ঐ জায়গায় প্রলেপ দিলে ২/৩ দিনের মধ্যে জ্বালাও যাবে আর ফোড়াও সেরে যাবে।
এছাড়াও ক্রনিক কাশি,
মহিলাদের প্রদর রোগে,
অর্শ, গনোরিয়া, শিশুদের দাস্ত পরিষ্কার না হলে ইত্যাদি রোগ নিরাময়ে আধুনিক আয়ুর্বেদ স্বাস্ত্রে শিমুল ব্যবহৃত হয়।
নিশিন্দা
ঔষধি গুন
১। নিশিন্দার পাতা পরজীবী নাশক এবং এর যক্ষা
ও ক্যানন্সারবিরোধী গুণ রয়েছে।
২। পাতা গরম করে
যে কোনো ফোলার
উপর বা মচকানোর ব্যথা ও প্রদাহ স্থানে রেকে গরম কাপড়
দিয়ে বেঁধে দিয়ে
দিনে ৪/৫ বার বদলাবেন। এতে দুএকদিনের মধ্যে ফোলা কমে যাবে।
দেহের যে কোনো
স্থানের টিউমারে নিশিন্দা পাতা বেটে গরম করে
প্রতিদিন লাগালে কয়েকদিনের মধ্যে টিউমার অদৃশ্য হয়ে
যাবে।
৩। পাতার রস বা
পাতা বেটে সরিষার তেলে পাক করে সে
তেল ২/১ ফোঁটা কানে দিলে
কানের রোগ আরোগ্য হয়। কানের সব ধরণের
ব্যথায় ক্ষতেও এটি
ব্যবহার করা যায়।
৪। পাতা চূর্ণ সিকি
গ্রাম পরিমাণ খেলে
(পূণবয়স্কদের জন্য) গুঁড়া
কৃমির উপদ্রব কমে
যায়।
৫। নিশিন্দ গেঁটে বাত সারায়
(Ghani, 2003), গেঁটে বাত (Gout) রোগে নিশিন্দার পাঁচন মোক্ষম ওষুধ। সঙ্গে যদি
জ্বর থকে, তবুও
এতে সুফল পাওয়া
যাবে। ৫ গ্রাম
পরিমাণ পাতা সিদ্ধ
করে ছেঁকে সে
পানি খেতে হয়।
তবে উচ্চ রক্তচাপ থাকলে খাওয়া ঠিক নয়।
পাথরকুচি
ঔষধি গুণ
এ ভেষজটি প্রধানত মূত্রবহ স্রোতে কাজ করে এবং ব্যবহার অংশ পাতা।
১। যে কোনো কারণেই হোক বা যে কোনো বয়সেই হোক মূত্র রোধে ২ চামচ পাথরকুচি পাতার রস আধাকাপ কুসুম গরম পানিতে মিশিয়ে সকালে ও বিকালে খেলে উপকার হবে। শিশুদের ক্ষেত্রে মাত্রা অর্ধেক।
২। রক্তপিত্তে পাথরকুচি পাতার রস উপরের নিয়মে ২/৩ দিন খাওয়ালেই ধীরে ধীরে কমে যাবে। পুরানো সর্দি বা কফ ও ঠান্ডা লেগে শ্লেষ্মা হলে ২ চা চামচ পাথরকুচি পাতার রস গরম করে সাথে ১৬৫ মি.গ্রা. সোহাগা-খই
মিশিয়ে সকাল-বিকাল ২বার খেলে সর্দি চলে যাবে এবং কাশির হাত থেকে বাঁচা যাবে।
৩। ডায়াবেটিস সারাতে পাথরকুচি পাতার রস ব্যবহার হয়
(Ethnomed, 1980)
৪। রক্ত আমাশয় সারাতেও পাথরকুচির পাতার রস উত্তম
(Ghani, 2003)
থানকুনি
ঔষধি গুণ
আয়ুর্বেদশাস্ত্র মতে থানকুনি রসায়ন গুণসম্পন্ন। থানকুনির প্রধান ব্যবহার আমাশয় ও অন্যান্য পেটের রোগে।
১। থানকুনি essential oil রয়েছে, তাই আমাশয় বা অন্য কোন বদহজমজনিত সমস্যায় রস ৫/৬ চামচ একটু গরম করে অথবা পাতা থেঁতো করে কাটলেটের মতো ভেজে খেলে উপকার পাওয়া যায়।
২। আয়ুর্বেদাচর্য শিবকালী ভট্টচার্য তার চিরঞ্জীব বনৌষধি গ্রন্থে উল্লেখ করেছেন যে,
শরীরের যে কোনো স্থানে ক্ষত হলে থানকুনি পাতা সিদ্ধ করে সেই জল দিয়ে ক্ষতস্থান ধুয়ে দিলে উপকার হবেই। আর এই পাতার রস দিয়ে তৈরী করা ঘি লাগালে নিরাময় হয়।
৩। অপুষ্টির কারণে চুল উঠে গেলেও উপর্যক্ত নিয়মে রস খেলে বিশেষ উপকার হয়।
৪। থানকুনি revitalizer হিসেবে কাজ করে (Chevallier, 1996) তাই থানকুনি পাতার রস ৫/৬ চামচ একটু গরম করে এক কাপ দুধের সাথে একটু চিনি মিশিয়ে খেলে দেহের লাবন্য ও ক্লান্তি ফিরে আসে।
৫। ভেষজউদ্ভিদ ড. আব্দুল গণি মতে থানকুনির অত্যন্ত বলকারক,
রুচিবর্ধক ও হজম বৃদ্ধিকারক গুণ রয়েছে। এর পাতা বেটে ভর্তা বা ঝোল রান্না করে ভাতের সঙ্গে খেলে পেটের বিভিন্ন অসুখ,
বদহজম, ডায়রিয়া, আমাশয় ও পেট ব্যথা সেরে যায়। এর রস
Ulcer, Eczema, Leprosy, Itching ও অন্যান্য চর্মরোগ সারাতে অত্যন্ত কর্যকর ভূমিকা পালন করে। পাতার রস বিভিন্ন চক্ষু রোগে ব্যবহার হয়।
অন্যন্য ব্যবহার
থানকুনির পাতা শাক হিসেবে অনেকে রান্ন করে খেয়ে থাকেন।
ভৃঙ্গরাজ
ঔষধি গুণ
এই ভেষজ কটুতিক্ত ও হালকা কষস্বাদ যুক্ত করে। ফলে স্বাভাবিকভাবে এটি পিত্ত ও শ্লেষ্মা বিকার কফের ওপর ভালো কাজ করে
১। সূর্যোদয়ের পর অনেকের মাথায় যন্ত্রণা হয়
(শিররোগ) বা
আধকপালে ব্যথা হয়
(সাইনোসাইটিস);
সে ক্ষেত্রে ভৃঙ্গরজের পাতা গুঁড়ার নস্যি নিলে বা পাতার রস মাথায় মাখালে উপশম হয়।
২। মাথার চুল ওঠায় এই পাতার রস দুপুরে মাথায় লাগলে অথবা রস দিয়ে তেল পাক করে ব্যবহার করলেও চুল পড়া বন্ধ হয়।(Chevallier,
1996)
৩। গুঁড়া কৃমির উপদ্রব হলে এর পাতার রস পূর্ণবয়ষ্কদের জন্য এক চা চামচ ১/৪ কাপ পানিতে মিশিয়ে খেলে উপদ্রব কমে যায়।
৪। চোখ উঠে পুঁজ জমলে ২০/২৫
ফোঁটা ভৃঙ্গরাজের রস পানিতে মিশিয়ে এ পানি দিয়ে চোখ ধুলে এটি সেরে যাবে।
৫। পায়োরিয়া হলে ভৃঙ্গরাজের পাতা গুঁড়া করে মাজনের মতো ২/৪ মিনিট ব্যবহার করলে দোষটি সেরে যায়। এ ছাড়াও এতে মাঢ়ি শক্ত হয় এবং মাঢ়ীতে কোনো ঘা থাকলে পাতার ক্বাথ দিয়ে কয়েকদিন মুখ ধুলে সেরে যায়।
হাড়জোড়া/অস্থিসংহার
ঔষধি গুণ
১। হাড়জোড়া বা অস্থিসংহার হাড়ভাঙায় অত্যন্ত কার্যকর। এর ডাঁটা ও পাতা সমপরিমাণ রসুন ও গুণগুলু একসাথে বেটে একটু গরম করে ভাঙা স্থানে প্রলেপ দিলে জুড়ে যাবে। প্রলেপটি ২/১ দিন পরপর পরিবর্তন করে লাগাতে হবে।
২। হাড়জোড়ায় oxo steroid নামক একটি রাসায়নিক যৌগ রয়েছে যা ভাঙা হাড় জোড়া লাগতে সাহায্য করে। IJP,
1962; IJMR, 1976; সে কারণে হাড়ভাঙার ফোলা ও ব্যথা সারাতে সমপরিমাণ হাড়জোড়ার ডাঁটা,
গন্ধবদলি ও নিশিন্দা পাতার সাথে অর্ধেক পরিমাণ ধূতরার পাতা একসাথে বেটে গরম করে প্রলেপ দিলে ব্যথা ও ফোলা দুইই চলে যায়।
৩। অনিয়মিত ঋতুস্রাবে অর্থাৎ মাসের দিনগুলি এগিয়ে পিছিয়ে গেলে কচি হাড়জোড়ার ডাঁটা কুচি কুচি করে কেটে শুকিয়ে সেই গুঁড়া ২ টিপ পানিসহ দিনে ২ বার কিছুদিন খেলে ওটা স্বাভাবিক হবে।
৪। উপর্যুক্ত গুঁড়া সকাল-বিকাল ২বার খেলে শ্বাস রোগেরও উপশম হয়।
৫। কৃমির উপদ্রব হলে উপর্যুক্ত হাড়জোড়া চূর্ণ ঘিয়ে ভেজে পানিসহ ২/৩ টিপ দিনে ২ বার খেলে এ অসুবিধা চলে যাবে।
৬। কানের প্রদাহে ডাঁটার রস উপকারী
(Ghani, 2003); কানে পুঁজ হলে ৫০ গ্রাম সরিষার তেলে ২৫ গ্রাম হাড়জোড়া ডাঁটা চাকা চাকা করে কেটে আলু ভাজার মতো ভেজে ঐ তেলের ২/১ ফোঁটা করে কানে দিলে ওটা সেরে যাবে।
৭। হাড়জোড়ার লতা ও পাতার অ্যালকোহলীয় নির্যাস উচ্চ রক্তচাপ রোধক ও মূত্রবর্ধক হিসেবে কাজ করে।
৮। কচি ডাঁটার ভস্ম বদহজম,
পেট ফাঁপা ও অন্যান্য পেটের পীড়ায় ওষুধ হিসেবে ব্যবহার হয়।
(Ghani, 2003)
৯। কোনো কারণে নাক দিয়ে রক্ত পড়লে এ ডাঁটার রস নাকে ব্যবহার করলে রক্ত পড়া বন্ধ হবে।
(Ghani, 2003)
পুদিনা (Mint)
বিদ্যমান উপাদান ও ব্যবহার
জাতভেদে মিন্ট অয়েল হতে ৪০-৯০% মেন্থল পাওয়া য়ায়। যেমনঃ
Mentha Piperita তে যেখানে প্রায় ৪৮%
মেন্থল পাওয়া যায় সেখানে
Mentha arvensis তে প্রায় ৯০%
মেন্থল পাওয়া যায়। তাছাড়া জাতভেদে রয়েছে আই-কার্বোন, মেন্থোন, টার্পেন, লিমোলেন, সিনোল ও পলেগোন ইত্যাদি।
আমাদের দেশে খাদ্য হিসাবে পুদিনার চাটনী ও ভর্তার বেশ কদর রয়েছে। রন্ধণে সতেজ বা শুষ্ক পাতা ব্যবহারযোগ্য। তবে সতেজ পাতাই অধিক গ্রহনযোগ্য। এটা চমৎকার মিষ্টি গন্ধময় ও খাওয়ার পর শীতল স্বাদ প্রদান করে। চা,
পানীয়,জেলি, সিরাপ, ক্যান্ডি ও আইসক্রিমের সাথে ব্যবহার হয়। মধ্যপ্রাচ্যে মেষের মাংস রান্নায় পুদিনার পাতা প্রদান করা হয়;
ইংল্যান্ডে মেষের মাংসের সাথে পুদিনার সস বেশ জনপ্রিয়। চায়ের সাথেও সেবন করা যায়;
যেমনঃ অ্যারাবিয়ান ও পূর্ব আফ্রিকার দেশসমুহে
Touareg চায়ের একটি জনপ্রিয় উপাদান হল পুদিনা। জাতভেদে মিন্ট অয়েলে প্রাপ্ত মেন্থল হল অনেক কসমেটিক্স ও পারফিউমের প্রধান উপাদান। মেন্থল নামক উপাদানই মিন্ট তথা পুদিনাকে অ্যারোমেটিক বা সুগন্ধময় বৈশিষ্ট্য প্রদান করে। টুথপেস্ট,
এন্টিসেপটিক মাউথ রেজিন,
নিঃশ্বাস সজীবকারক এবং খাদ্যদ্রব্য যেমনঃ পানীয়,
চুইংগাম, চকলেট ও ক্যান্ডিতে মিন্ট-ফ্লেভারিং হিসাবে যে জিনিসটি ব্যবহার হয় তা হল মেন্থল-স্যালিসাইলেট; যাকে ‘অয়েল অব উইন্টারগ্রীণ’
বলা হয়। এডিটিভ হিসাবে সিগারেটে ব্যবহৃত মেন্থল তামাকের তিক্ত স্বাদ দুর করে ও গলায় স্বস্তি প্রদান করে।
ঔষধি ব্যবহার
প্রায় ২০০০ বছর ধরে পুদিনার ভেষজ ব্যবহার হচ্ছে। এর সাধারণ ঔষধি ব্যবহার হচ্ছে বিভিন্ন আন্ত্রিক জটিলতায় যেমনঃ বদহজমে। দেহের ফ্যাট/চর্বিকে সহজে ভাঙ্গতে পারে বলে এটা একদিকে যেমন হজমে সহায়তা করে,
অন্যদিকে মেদ/স্থুলতা কমাতেও সহায়তা করে। পিত্তরসকে উদ্দীপিত করে পিত্তরসের প্রবাহ বৃদ্ধি করে ও পিত্ত-পাথর সঞ্চয়ণ রোধ করে। এটা ভাল এক্সপেক্টোরান্ট হিসাবে কাজ করে কারণ এর মেন্থল মিউকাসকে পাতলা করে কফকে ভাঙ্গতে সহায়তা করে। পাকস্থলী ও বুকের ব্যথা কমায়। আবার এর মূল উপাদান মেন্থলের এন্সেথেটিক ও এন্টিইরিটেন্ট প্রোপার্টিস রয়েছে বিধায় চামড়ার কোল্ডরিসিপ্টরকে সক্রিয় করে চামড়ায় শীতল অনুভূতি সৃষ্টি করে;
বিভিন্ন চর্ম মলম বা ক্রিম,
কোলিং জেল ও আফটারসেভ লোশন তৈরিতে ব্যবহৃত হয়। পাকস্থলীর ব্যথায় দুধের সাথে পাতা গরম করে চিনি দিয়ে সেবণ করা যায়। মধ্যযুগে দাত সাদা করতে এর পাতার পাউডার ব্যবহারের ব্যাপকতা লক্ষ্য করা যায়। রুচি বর্ধক বিথায় ক্ষুধামান্দা দুর করে। হোম রিমিডি হিসাবে
‘চা-য়ের মত করে বা চায়ের সাথে সেবণ করা যায়।
পুদিনার নির্যাস পরিবেশ-বান্ধব কীটনাশক হিসাবে মশা,
পিঁপড়া ইত্যাদি কীট তাড়ায় আবার উপকারী পোকা আকর্ষণ করতে পারে। তাই এটা অন্য গাছ জন্মাতেসাথী গাছ হিসাবে রাখা যায়। সাদামাছি ও অ্যাফিডের প্রতি সংবেদনশীল।
লজ্জ্বাবতী
বাংলা নাম- লজ্জাবতী। আবার
কেউ কেউ এক
বলেন লাজুক লতা।
ইংরেজি নাম- Sensitive Plant
বৈজ্ঞানিক নাম-Mimosa pudica Linn
পরিবার- Mimosaceae.
পরিচয়ঃ- বর্ষজীবি গুল্ম আগাছা বা ওষুধী গাছ।
কাণ্ড- লতানো। শাখা প্রশাখায় ভরা। কাঁটাযুক্ত। লালচে রঙের। কিছুটা শক্ত। সহজে ভাঙ্গে না বরং পেচিয়ে টানলে ছিড়ে যায়।
পাতা- যেীগিক পত্র। কয়েক জোড়া পাতা বিপ্রতীপভাবে থাকে। অনেকটা তেতুল পাতার মত। হাত ও পায়ের স্পর্শে লজ্জ্বাবতীর পাতা বুঁজে এসে বন্ধ হয়ে যায়। পাতা সরু ও লম্বাটে, সংখ্যায় ২ থেকে ২০ জোড়া। উপপত্র কাঁটায় ভরা।
ফুল: উভলিঙ্গ। বৃতির সংখ্যা ৪ টি, পাপড়ি ৪টি, ফুল গুলি বেগুনী ও গোলাপী রঙের।
ফল- দেখতে চ্যাপ্টা এবং একত্রিত। মে থেকে জুন মাসে ফুল আসে, জুলাই আগষ্টে ফুল থেকে ফল হয় এবং জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মাসে বীজ থেকে চারা গজায়।
উপকারী অংশঃ- পাতা ও মুল। পাতায় এ্যাকোলয়েড ও এড্রেনালিন এর সব উপকরণ থাকে। এছাড়ও (turgorins) টিউগুরিনস্ এবং মুলে ট্যানিন থাকে।
ব্যবহারঃ- দাতেঁর মাঢ়ির ক্ষত সাড়াতে গাছসহ ১৫ থেকে ২০ সে.মি. লম্বা মূল পানিতে সিদ্ধ করে সে পানি দিয়ে কয়েক দিন দিনে ৩ বার কুলকুচা করলে ভালো হয়। সাদা ফুলের লজ্জ্বাবতীর পাতা ও মুল পিষে রস বের করে নিয়মিত খেলে পাইলস্ ও ফিস্টুলায় আরাম পাওয়া যায়।
লেখক: সিদ্দিকুর রহমান
ইংরেজি নাম- Sensitive Plant
বৈজ্ঞানিক নাম-Mimosa pudica Linn
পরিবার- Mimosaceae.
পরিচয়ঃ- বর্ষজীবি গুল্ম আগাছা বা ওষুধী গাছ।
কাণ্ড- লতানো। শাখা প্রশাখায় ভরা। কাঁটাযুক্ত। লালচে রঙের। কিছুটা শক্ত। সহজে ভাঙ্গে না বরং পেচিয়ে টানলে ছিড়ে যায়।
পাতা- যেীগিক পত্র। কয়েক জোড়া পাতা বিপ্রতীপভাবে থাকে। অনেকটা তেতুল পাতার মত। হাত ও পায়ের স্পর্শে লজ্জ্বাবতীর পাতা বুঁজে এসে বন্ধ হয়ে যায়। পাতা সরু ও লম্বাটে, সংখ্যায় ২ থেকে ২০ জোড়া। উপপত্র কাঁটায় ভরা।
ফুল: উভলিঙ্গ। বৃতির সংখ্যা ৪ টি, পাপড়ি ৪টি, ফুল গুলি বেগুনী ও গোলাপী রঙের।
ফল- দেখতে চ্যাপ্টা এবং একত্রিত। মে থেকে জুন মাসে ফুল আসে, জুলাই আগষ্টে ফুল থেকে ফল হয় এবং জানুয়ারি- ফেব্রুয়ারি মাসে বীজ থেকে চারা গজায়।
উপকারী অংশঃ- পাতা ও মুল। পাতায় এ্যাকোলয়েড ও এড্রেনালিন এর সব উপকরণ থাকে। এছাড়ও (turgorins) টিউগুরিনস্ এবং মুলে ট্যানিন থাকে।
ব্যবহারঃ- দাতেঁর মাঢ়ির ক্ষত সাড়াতে গাছসহ ১৫ থেকে ২০ সে.মি. লম্বা মূল পানিতে সিদ্ধ করে সে পানি দিয়ে কয়েক দিন দিনে ৩ বার কুলকুচা করলে ভালো হয়। সাদা ফুলের লজ্জ্বাবতীর পাতা ও মুল পিষে রস বের করে নিয়মিত খেলে পাইলস্ ও ফিস্টুলায় আরাম পাওয়া যায়।
লেখক: সিদ্দিকুর রহমান
দূর্বা
বাংলা নাম-
দূর্বা। হিন্দি নাম দূর্বা।
ইংরেজি নাম- Bermuda grass.
বৈজ্ঞানিক নাম- Cynodon dactylon Pers.
পরিবার/গোত্র- Gramineae.
পরিচয়ঃ- বহুবর্ষজীবি। বিরুৎ। জানা শুনা আগাছা হিসাবে।
কাণ্ড- বহু শাখায়িত। কাণ্ডে পর্ব গুলো থাকে স্পষ্ট। চ্যাপ্টা রোমহীন। গিটওয়ালা। লালচে। প্রতি পর্ব থেকে শেকড় গজায়। মাটিতে হেলে দুলে চলে বড় হয়।
পাতা- পাতা রেখাকার। কাণ্ডকে পাতার খোল ঢেকে রাখে। গাছের রঙ হালকা সবুজ থেকে গাঢ় সবুজ। পাতা অল্প রোমযুক্ত। প্রান্ত সুচালো।
ফুল-ফুল ধরা কাণ্ড খাড়া,আঙ্গুরের মত পুস্পমজ্ঞুরী শাখাম্বিত। এর পুস্পমজ্ঞুরী ৩টি থেকে ৫টি। পাশের দিকে চ্যাপ্টা। বোঁটা ছাড়া ফুল দুই সারীতে থাকে।
ফল-/বীজ- ফুল থেকে ফল ও বীজ হয়। সবুজ রঙের বীজ ছোট চকচকে। ফুল থেকে বীজ উৎপাদন হয়। এপ্রিল থেকে জুলাই মাসে ফুল ও বীজ পরিপক্ক হয় এবং অল্প কিছুদিনের মধ্যে বীজ থেকে চারা গজায়।
উপকারী অংশঃ সম্পূর্ণ অংশ। ট্রাইটারপিনয়েডস,প্রোটিন ও মর্করা থাকে। এছাড়া জৈব এসিড পাওয়া যায়।
ব্যবহারঃ
» কাটা স্থানে দূর্বাঘাস বেটে বা দাঁত দিয়ে থেতলে লাগালে সঙ্গে সঙ্গে রক্ত ঝরা বন্ধ হয়।
» কোনোভাবেই মেযেদের ঋতুস্রাব হচ্ছে না এরকম হলে দূর্বাঘাস বেটে এককাপ রস খেলে দারুন উপকার পাওয়া যায়।
» প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক কাপ দূর্বা ঘাসের রসের সাথে সামান্য আখের রস মিশিয়ে খেলে অশ্বরোগ আরোগ্য হয়।
» দূর্বার কচি ডগা সামান্য সরিষার তেলসহ দাঁতের গর্ত করা স্থানে দিলে জীবাণু মারা যায় ও উপকার হয়।
» পায়ের একজিমা হলে চুলকিয়ে দূর্বাঘাসের রস দিলে কয়েকদিনে ভালো হয়।
» অরুচি,শ্রান্তি,পিত্তদাহ,বমি ও রক্ত দোষ নাশক হিসাবে কাজ করে। এ ক্ষেত্রে দূর্বার মুল সমপরিমান দূর্বার পাতার রস ও পানি জ্বাল দিয়ে ক্বাথ তৈরী করে ক’দিন খেলে উপকার পাওয়া যায়।
» মুখের ব্রন সাড়াতে এককাপ দূর্বার রস এককাপ পুরাতন ঘি ভেজে মুখ ধুয়ে লাগালে ব্রন ভালো হয়।
» একভাগ দূর্বার রস একভাগ তিলের তেল তিনমাস নিয়মিত সপ্তাহে দুই দিন মাথায় দিলে চুলপড়া বন্ধ হয়।
» শরীরের বাত ব্যাথা রোগ হলে দূর্বার রস তার সমপরিমান কাঁচা হলুদ একসঙ্গে বেটে সমান পরিমান দুধের সাথে মিশিয়ে খেলে ভালো হয়।
» দূর্বা ও আতপ চাল সমান সমান নিয়ে একসঙ্গে বেটে বড়া করে বানিয়ে সপ্তাহে তিন/চার দিন ভাতের সাথে খেলে সুফল পাওয়া যায়।
» দাঁতের পায়োরিয়া সাড়াতে দূর্বা ঘাসের রস ও দুধ মিশিয়ে দাঁত মাজলে পায়োরিয়া ভালো হয়।
লেখক: সিদ্দিকুর রহমান
ইংরেজি নাম- Bermuda grass.
বৈজ্ঞানিক নাম- Cynodon dactylon Pers.
পরিবার/গোত্র- Gramineae.
পরিচয়ঃ- বহুবর্ষজীবি। বিরুৎ। জানা শুনা আগাছা হিসাবে।
কাণ্ড- বহু শাখায়িত। কাণ্ডে পর্ব গুলো থাকে স্পষ্ট। চ্যাপ্টা রোমহীন। গিটওয়ালা। লালচে। প্রতি পর্ব থেকে শেকড় গজায়। মাটিতে হেলে দুলে চলে বড় হয়।
পাতা- পাতা রেখাকার। কাণ্ডকে পাতার খোল ঢেকে রাখে। গাছের রঙ হালকা সবুজ থেকে গাঢ় সবুজ। পাতা অল্প রোমযুক্ত। প্রান্ত সুচালো।
ফুল-ফুল ধরা কাণ্ড খাড়া,আঙ্গুরের মত পুস্পমজ্ঞুরী শাখাম্বিত। এর পুস্পমজ্ঞুরী ৩টি থেকে ৫টি। পাশের দিকে চ্যাপ্টা। বোঁটা ছাড়া ফুল দুই সারীতে থাকে।
ফল-/বীজ- ফুল থেকে ফল ও বীজ হয়। সবুজ রঙের বীজ ছোট চকচকে। ফুল থেকে বীজ উৎপাদন হয়। এপ্রিল থেকে জুলাই মাসে ফুল ও বীজ পরিপক্ক হয় এবং অল্প কিছুদিনের মধ্যে বীজ থেকে চারা গজায়।
উপকারী অংশঃ সম্পূর্ণ অংশ। ট্রাইটারপিনয়েডস,প্রোটিন ও মর্করা থাকে। এছাড়া জৈব এসিড পাওয়া যায়।
ব্যবহারঃ
» কাটা স্থানে দূর্বাঘাস বেটে বা দাঁত দিয়ে থেতলে লাগালে সঙ্গে সঙ্গে রক্ত ঝরা বন্ধ হয়।
» কোনোভাবেই মেযেদের ঋতুস্রাব হচ্ছে না এরকম হলে দূর্বাঘাস বেটে এককাপ রস খেলে দারুন উপকার পাওয়া যায়।
» প্রতিদিন সকালে খালি পেটে এক কাপ দূর্বা ঘাসের রসের সাথে সামান্য আখের রস মিশিয়ে খেলে অশ্বরোগ আরোগ্য হয়।
» দূর্বার কচি ডগা সামান্য সরিষার তেলসহ দাঁতের গর্ত করা স্থানে দিলে জীবাণু মারা যায় ও উপকার হয়।
» পায়ের একজিমা হলে চুলকিয়ে দূর্বাঘাসের রস দিলে কয়েকদিনে ভালো হয়।
» অরুচি,শ্রান্তি,পিত্তদাহ,বমি ও রক্ত দোষ নাশক হিসাবে কাজ করে। এ ক্ষেত্রে দূর্বার মুল সমপরিমান দূর্বার পাতার রস ও পানি জ্বাল দিয়ে ক্বাথ তৈরী করে ক’দিন খেলে উপকার পাওয়া যায়।
» মুখের ব্রন সাড়াতে এককাপ দূর্বার রস এককাপ পুরাতন ঘি ভেজে মুখ ধুয়ে লাগালে ব্রন ভালো হয়।
» একভাগ দূর্বার রস একভাগ তিলের তেল তিনমাস নিয়মিত সপ্তাহে দুই দিন মাথায় দিলে চুলপড়া বন্ধ হয়।
» শরীরের বাত ব্যাথা রোগ হলে দূর্বার রস তার সমপরিমান কাঁচা হলুদ একসঙ্গে বেটে সমান পরিমান দুধের সাথে মিশিয়ে খেলে ভালো হয়।
» দূর্বা ও আতপ চাল সমান সমান নিয়ে একসঙ্গে বেটে বড়া করে বানিয়ে সপ্তাহে তিন/চার দিন ভাতের সাথে খেলে সুফল পাওয়া যায়।
» দাঁতের পায়োরিয়া সাড়াতে দূর্বা ঘাসের রস ও দুধ মিশিয়ে দাঁত মাজলে পায়োরিয়া ভালো হয়।
লেখক: সিদ্দিকুর রহমান
কলকে
নাম- কলকির মত হওয়ায় একে কলকে বলে। বাংলা নাম কলকে,
কলকি,হলদি কলকি,কড়ি,চায়না করবি। হিন্দি নাম পিলাকনি,যারকুনেল।ইংরেজি নাম ইয়োলো ওলিয়েন্ডার,এক্সিলয়েল ট্রী। উদ্ভিদতাত্বিক নাম
Thevetia peruviana K.Schum. পরিবার Apocynaceae.
পরিচয়: কলকে বাংলাদেশের সবখানে দেখা যায়।আকারে ছোটখাটো। ঘন সবুজ পাতায় বিন্যস্ত।
গাছের গঠন: সারা বছর সবুজ পাতায় ঢাকা থাকে। কাণ্ডগোল,মসৃণ, হালকা ধুসর,নরম,অগুনতি শাখায় ছাড়ানো ছিটানো। ছোট খাটো গাছ। উচ্চাতায় ১ মিটার পর্যন্ত হয়। ডাল কাটলে বা ভাঙ্গে সাদা সাদা দুধের ন্যায় কষ বের হয়। দুধ গুলো আটালো।
পাতা: কলকের পাতা চিকন ও সরু। লম্বায় ১০ থেকে ১৫ সে.মি. পর্যন্ত,চওড়ায় ২ সে.মি.পর্যন্ত। রঙ ঘন সবুজ। বোটাঁ ছোট। পাতা সরু ছুরির মত শেষ প্রান্ত সুচালো। ঘনভাবে সুবিন্যাস্ত।
ফুল: কলকের নাম হলদে কলকে হলেও এর ফুল শুধু হলুদ না হয়ে সাদা গোলাপি,হালকা লাল হয়। ফুল কলকির মত দেখতে। লম্বায় ১০ সে.মি.। কলকে গাছের শাখার মাথায় ফুল ধরে। বৃতি গুলো একটার সাথে আর একটা লাগানো। সবুজ। লম্বায় ৩ সে.মি.। দল গুলো ৫ সে.মি. লম্বায়। প্রত্যেকটির সাথে প্রত্যেকটি যুক্ত। ফুলের পাপড়ি ৫ টি। পাপড়ি গুলো প্যাচাঁনো থাকে একটার সাথে একটা।,নলাকৃতি। ফুলে মধু থাকে।
ফল: ফল জোড়ায় জোড়ায় ফল ধরে। ফলের দুই প্রান্ত ঢালু তবে মধ্যখানে ফুলে ওঠা উঁচু থাকে। অনেকটা ডিমের মত। ফল ফ্যাকাসে হলদে। ডিমের ভেতর বীজ থাকে। প্রতি ফলে ২ টি বীজ থাকে। বীজ থেকে বংশ বিস্তার। বীজ অত্যন্ত বিষাক্ত। বীজ পাকলে ফ্যাকাসে বাদামী হয়।
উপকারী অংশ: কলকের ছাল,পাতা ও বীজ। ছালে কার্ডিওএকটিভ,গ্লাইকোসাইড থাকে। পাতা ও বীজে গ্লাইকোসাইড রয়েছে।
ব্যবহার: ছাল ও বীজে কর্ডিয়াক টনিক ও কাডর্য়িাক স্টিমুলেন্ট হিসাবে ব্যবহার করা হয়। শক্তিশালী রেচক । পাতাতেও একই ধরনের গুণাগুণ রয়েছে। বীজ অত্যন্ত বিষাক্ত।বীজ ব্যবহার করে গর্ভবতী মায়েদের গর্ভপাত ঘটানো যায়। বাতরোগে ও পা ফোলা রোগে কয়েকটি বীজ বেটে পেস্ট তৈরী করে আক্রান্ত স্থানে নিয়মিত কয়েকদিন লাগালে পা ফোলা ও বাতরোগ ভালো।
লেখক: সিদ্দিকুর রহমান
পরিচয়: কলকে বাংলাদেশের সবখানে দেখা যায়।আকারে ছোটখাটো। ঘন সবুজ পাতায় বিন্যস্ত।
গাছের গঠন: সারা বছর সবুজ পাতায় ঢাকা থাকে। কাণ্ডগোল,মসৃণ, হালকা ধুসর,নরম,অগুনতি শাখায় ছাড়ানো ছিটানো। ছোট খাটো গাছ। উচ্চাতায় ১ মিটার পর্যন্ত হয়। ডাল কাটলে বা ভাঙ্গে সাদা সাদা দুধের ন্যায় কষ বের হয়। দুধ গুলো আটালো।
পাতা: কলকের পাতা চিকন ও সরু। লম্বায় ১০ থেকে ১৫ সে.মি. পর্যন্ত,চওড়ায় ২ সে.মি.পর্যন্ত। রঙ ঘন সবুজ। বোটাঁ ছোট। পাতা সরু ছুরির মত শেষ প্রান্ত সুচালো। ঘনভাবে সুবিন্যাস্ত।
ফুল: কলকের নাম হলদে কলকে হলেও এর ফুল শুধু হলুদ না হয়ে সাদা গোলাপি,হালকা লাল হয়। ফুল কলকির মত দেখতে। লম্বায় ১০ সে.মি.। কলকে গাছের শাখার মাথায় ফুল ধরে। বৃতি গুলো একটার সাথে আর একটা লাগানো। সবুজ। লম্বায় ৩ সে.মি.। দল গুলো ৫ সে.মি. লম্বায়। প্রত্যেকটির সাথে প্রত্যেকটি যুক্ত। ফুলের পাপড়ি ৫ টি। পাপড়ি গুলো প্যাচাঁনো থাকে একটার সাথে একটা।,নলাকৃতি। ফুলে মধু থাকে।
ফল: ফল জোড়ায় জোড়ায় ফল ধরে। ফলের দুই প্রান্ত ঢালু তবে মধ্যখানে ফুলে ওঠা উঁচু থাকে। অনেকটা ডিমের মত। ফল ফ্যাকাসে হলদে। ডিমের ভেতর বীজ থাকে। প্রতি ফলে ২ টি বীজ থাকে। বীজ থেকে বংশ বিস্তার। বীজ অত্যন্ত বিষাক্ত। বীজ পাকলে ফ্যাকাসে বাদামী হয়।
উপকারী অংশ: কলকের ছাল,পাতা ও বীজ। ছালে কার্ডিওএকটিভ,গ্লাইকোসাইড থাকে। পাতা ও বীজে গ্লাইকোসাইড রয়েছে।
ব্যবহার: ছাল ও বীজে কর্ডিয়াক টনিক ও কাডর্য়িাক স্টিমুলেন্ট হিসাবে ব্যবহার করা হয়। শক্তিশালী রেচক । পাতাতেও একই ধরনের গুণাগুণ রয়েছে। বীজ অত্যন্ত বিষাক্ত।বীজ ব্যবহার করে গর্ভবতী মায়েদের গর্ভপাত ঘটানো যায়। বাতরোগে ও পা ফোলা রোগে কয়েকটি বীজ বেটে পেস্ট তৈরী করে আক্রান্ত স্থানে নিয়মিত কয়েকদিন লাগালে পা ফোলা ও বাতরোগ ভালো।
লেখক: সিদ্দিকুর রহমান
বেল
নাম- বাংলাদেশের সবখানেরই ওষুধি গাছ বেল। বাংলা নাম বেল। হিন্দি ও উর্দূ নামও বেল। ইংরেজি নাম
Wood Apple, Stone Apple । বৈজ্ঞানিক নাম Aegle
marmelos এবং পরিবার
Rutaceae.
পরিচয়ঃ মাঝারী আকারের বহুবর্ষজীবী কাষ্ঠল উদ্ভিদ বেল।
গাছের গঠন: মসৃণ। হালকা ধুসর, মাথা এলোমেলো চারপাশে শাখা প্রশাখা মেলানো। সারা দেহে কাঁটায় সাজানো। শীতে পাতা ঝরে। বসন্তে পাতা গজানো শুরু হয়।কচি পাতা দেখতে তামাটে ও পরিণত অবস্থায় গাঢ় সবুজ। পাতা গজানোর পর পুল ফোটে।
পাতা: সবুজ পাতা শীতে ঝরে। বসন্তে নতুন পাতা গজায়। পাতার বোঁটা ছোট। তিনটি পাতা। পাতা গুলো একান্তরভাবে সাজানো। লম্বায় ৪ থেকে ৭ সে.মি.। বর্শার ফলার মত প্রান্ত কোণাকৃতি। চওড়ায় ১.৫ থেকে ২ সে.মি.।
ফুল: বেলের ফুল ছোট, হাল্কা সবুজ। তবে তীব্র সুগন্ধি। পাপড়ি খোলামেলা। ৪/৫টি পাপড়ি থাকে। পরাগকেশর অসংখ্য।
ফল: বেলের ফল গোল,শক্ত খোসা। কাচাঁ বেল ফল হালকা ধুসর। পাকা ফল হলুদ ও সবুজের মিশ্রণ। খোসা কাঠের মত শক্ত। ফলের ভেতর ৮ থেকে ১০ টি প্রকোষ্টে ভাগ। প্রতিটি ভাগে কমলা-হলুদ রঙের শাঁস থাকে। শাঁস গুলো সুমিষ্ট,সুগন্ধি,নরম ও আশঁ সমৃদ্ধ।
উপকারী অংশ: বেলের পাতা,ফুল ও ফল মানব দেহের জন্য খুবই উপকারী। ফলের শাঁেস রয়েছে প্রচুর শর্করা,উদ্বায়ী তেল,এ্যালকোহল,তারপিন,ট্যানিন,প্রোটিন,খনিজ পদার্থ ও ভিটামিন। বেলের ছালে ও মুলে রয়েছে উপক্ষার,গ্লাইকোসাইড,কিউমারিন,অত্যাবশকীয় তেল।
ব্যবহার: দীর্ঘদিনের আমাশয়ের চিকিৎসায় বেল অত্যন্ত কার্যকরী। কচি কাঁচা বেল চাকা চাকা করে কেটে রোদে শুকিয়ে বেলশুট তৈরী করে নিতে হয় প্রথমে। বেল ফল থেকে তৈরী ২/৩টি বেলশুট সন্ধ্যায় ১ কাপ পানি ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে খেতে হবে ১ মাস। এতে পুরাতন আমাশয় সম্পূর্ণ ভালো হয়।
বেল পাতার পুড়িয়ে ছাই দিয়ে নিয়মিত দাঁত মাজলে মুখের র্দূগন্ধ দুর হয় ও দাতেঁর মাড়ি শক্ত সবল হয়।
পাকা বেলের শাঁস পানি মিশিয়ে শরবত করে খেলে বদহজম দুর হয়। হজম শক্তি বাড়ে। শরীর ঠান্ডা হয় সাথে সাথে।
লেখক: সিদ্দিকুর রহমান
পরিচয়ঃ মাঝারী আকারের বহুবর্ষজীবী কাষ্ঠল উদ্ভিদ বেল।
গাছের গঠন: মসৃণ। হালকা ধুসর, মাথা এলোমেলো চারপাশে শাখা প্রশাখা মেলানো। সারা দেহে কাঁটায় সাজানো। শীতে পাতা ঝরে। বসন্তে পাতা গজানো শুরু হয়।কচি পাতা দেখতে তামাটে ও পরিণত অবস্থায় গাঢ় সবুজ। পাতা গজানোর পর পুল ফোটে।
পাতা: সবুজ পাতা শীতে ঝরে। বসন্তে নতুন পাতা গজায়। পাতার বোঁটা ছোট। তিনটি পাতা। পাতা গুলো একান্তরভাবে সাজানো। লম্বায় ৪ থেকে ৭ সে.মি.। বর্শার ফলার মত প্রান্ত কোণাকৃতি। চওড়ায় ১.৫ থেকে ২ সে.মি.।
ফুল: বেলের ফুল ছোট, হাল্কা সবুজ। তবে তীব্র সুগন্ধি। পাপড়ি খোলামেলা। ৪/৫টি পাপড়ি থাকে। পরাগকেশর অসংখ্য।
ফল: বেলের ফল গোল,শক্ত খোসা। কাচাঁ বেল ফল হালকা ধুসর। পাকা ফল হলুদ ও সবুজের মিশ্রণ। খোসা কাঠের মত শক্ত। ফলের ভেতর ৮ থেকে ১০ টি প্রকোষ্টে ভাগ। প্রতিটি ভাগে কমলা-হলুদ রঙের শাঁস থাকে। শাঁস গুলো সুমিষ্ট,সুগন্ধি,নরম ও আশঁ সমৃদ্ধ।
উপকারী অংশ: বেলের পাতা,ফুল ও ফল মানব দেহের জন্য খুবই উপকারী। ফলের শাঁেস রয়েছে প্রচুর শর্করা,উদ্বায়ী তেল,এ্যালকোহল,তারপিন,ট্যানিন,প্রোটিন,খনিজ পদার্থ ও ভিটামিন। বেলের ছালে ও মুলে রয়েছে উপক্ষার,গ্লাইকোসাইড,কিউমারিন,অত্যাবশকীয় তেল।
ব্যবহার: দীর্ঘদিনের আমাশয়ের চিকিৎসায় বেল অত্যন্ত কার্যকরী। কচি কাঁচা বেল চাকা চাকা করে কেটে রোদে শুকিয়ে বেলশুট তৈরী করে নিতে হয় প্রথমে। বেল ফল থেকে তৈরী ২/৩টি বেলশুট সন্ধ্যায় ১ কাপ পানি ভিজিয়ে রেখে সকালে খালি পেটে খেতে হবে ১ মাস। এতে পুরাতন আমাশয় সম্পূর্ণ ভালো হয়।
বেল পাতার পুড়িয়ে ছাই দিয়ে নিয়মিত দাঁত মাজলে মুখের র্দূগন্ধ দুর হয় ও দাতেঁর মাড়ি শক্ত সবল হয়।
পাকা বেলের শাঁস পানি মিশিয়ে শরবত করে খেলে বদহজম দুর হয়। হজম শক্তি বাড়ে। শরীর ঠান্ডা হয় সাথে সাথে।
লেখক: সিদ্দিকুর রহমান
শ্বেতদ্রোণ বা দ-কলস বা কলসকাঠি
নাম- শ্বেতদ্রোণ ঝোপাণো গাছ। কেউ বলেন দন্ডকলস।আবর কেউ বলেন দোড় কলস। অন্যরা চেনন কানশিশা। এর ইরেজি নাম-
Wite Verticilla। বৈজ্ঞানিক নাম Leucusapera Link এবং পরিবার
Labiatae। পাওয়া যায় দেশের সর্বত্রই।
পরিচয়ঃ শ্বেতদ্রোণ বহুবর্সজীবি গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। এর শিকড় মাটির ৪/৫ সে.মি. গভীরে যায়। হাত দিয়ে টান দিলে সহজে ওঠে আসে দেহ গাঢ় সবুজ। অসংখ্য গিট বা পর্বে সমস্ত কান্ডে থাকে। কানণ্ড শক্ত ফুল অবৃন্তক। প্রতিটি গিট থেকে দু’পাশে বিপ্রতীপভাবে শাখা প্রশাখা বের হয়। পাতা সরল। পাতার বোটায় দু’টি পত্রিকা থাকে। পাতা লম্বায় ৪ থেকে ৭ সে.মি.লম্বা,চওড়া ১ সে.মি.।পর্ব থেকে পাতা ৪০ সে.মি.লম্বা হয়ে থাকে। মাছির চোখের মত ফুলের মঞ্জুরীতে অনেক গুলো সাদ ফুল থাকে। ফুল গুলোর গোড়ায় মধু থাকে। বাচ্চরা সে মধু খেতে পচন্দ করে। বীজের মাধ্যমে শ্বেদ্রেণের বংশ বিস্তার। মার্চ এপ্রিলে ফুল ফোটে। আগষ্ট মাসের মধ্যে বীজ পরিপক্ক হয়। অক্টেবর নভেম্বরে বীজ থেকে চারা গজায়।
উপকারী অংশঃ পাতা ও শাকা প্রশাখা চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। পাতায় গ্লুকোসাইডস,ট্যানিন, স্যাপোনিন স্টেরোলস ও বিভিন্নধরণের ফ্যাটি এসিড থাকে। শাখায় Aliphatic Kelos betarol রয়েছে।
ব্যবহারঃ কোনো স্থান মচকে গেলে সঙোগ সঙ্গে শ্বেতদ্রোণের ৫/৬ টি পাতা নিয়ে তার সাথে ৪/৫ ফোটা কেরোসিন তেল ও আধা চিমটি লবণ মেখে মালিশ করলে মচকনো স্থান ভালো হয়ে যায়। দীর্ঘ দিনের ঠাস ঠাস শব্দের কাশিতে কায়েক দিন ধরে অল্প কয়েকটি পাতা বেজে খেলে কাশি ভালে হয়। সর্দির কারণে মাথা ধরা হলে ২০/২৫ টি পাতা পিষে রস করে সামাণ্য লবণ দিয়ে খেলে ৩/৫ দিনে ভালো হয়। খোস পাচড়ায় পাতা বেটে পেস্ট করে লাগালে খোস পাচড়া ভালো হয়।
পরিচয়ঃ শ্বেতদ্রোণ বহুবর্সজীবি গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ। এর শিকড় মাটির ৪/৫ সে.মি. গভীরে যায়। হাত দিয়ে টান দিলে সহজে ওঠে আসে দেহ গাঢ় সবুজ। অসংখ্য গিট বা পর্বে সমস্ত কান্ডে থাকে। কানণ্ড শক্ত ফুল অবৃন্তক। প্রতিটি গিট থেকে দু’পাশে বিপ্রতীপভাবে শাখা প্রশাখা বের হয়। পাতা সরল। পাতার বোটায় দু’টি পত্রিকা থাকে। পাতা লম্বায় ৪ থেকে ৭ সে.মি.লম্বা,চওড়া ১ সে.মি.।পর্ব থেকে পাতা ৪০ সে.মি.লম্বা হয়ে থাকে। মাছির চোখের মত ফুলের মঞ্জুরীতে অনেক গুলো সাদ ফুল থাকে। ফুল গুলোর গোড়ায় মধু থাকে। বাচ্চরা সে মধু খেতে পচন্দ করে। বীজের মাধ্যমে শ্বেদ্রেণের বংশ বিস্তার। মার্চ এপ্রিলে ফুল ফোটে। আগষ্ট মাসের মধ্যে বীজ পরিপক্ক হয়। অক্টেবর নভেম্বরে বীজ থেকে চারা গজায়।
উপকারী অংশঃ পাতা ও শাকা প্রশাখা চিকিৎসায় ব্যবহৃত হয়। পাতায় গ্লুকোসাইডস,ট্যানিন, স্যাপোনিন স্টেরোলস ও বিভিন্নধরণের ফ্যাটি এসিড থাকে। শাখায় Aliphatic Kelos betarol রয়েছে।
ব্যবহারঃ কোনো স্থান মচকে গেলে সঙোগ সঙ্গে শ্বেতদ্রোণের ৫/৬ টি পাতা নিয়ে তার সাথে ৪/৫ ফোটা কেরোসিন তেল ও আধা চিমটি লবণ মেখে মালিশ করলে মচকনো স্থান ভালো হয়ে যায়। দীর্ঘ দিনের ঠাস ঠাস শব্দের কাশিতে কায়েক দিন ধরে অল্প কয়েকটি পাতা বেজে খেলে কাশি ভালে হয়। সর্দির কারণে মাথা ধরা হলে ২০/২৫ টি পাতা পিষে রস করে সামাণ্য লবণ দিয়ে খেলে ৩/৫ দিনে ভালো হয়। খোস পাচড়ায় পাতা বেটে পেস্ট করে লাগালে খোস পাচড়া ভালো হয়।
কেশ রাজ
কেশরাজকে অনেক স্থানে কেশুতি। কেউতি,কালোকেশিরিয়া, কালসাতার গাছ। বৈজ্ঞানিক নাম
Ectipta prostrata Linn,Elcipta alba Hask। এর পরিবার
Compositae।
পরিচয়: বর্ষজীবী কেশরাজ গুল্ম জাতীয় উদ্দ্ভিদ।
শাখা: লতানো। শাখা থেকে প্রশাখা বের হয়। শাখা বা প্রশাখা বের হয় বিপরীতভাবে। লম্বায় ৫০ থেকে ৬০ সে.মি. কালছে,রসে ভার ভারী। শাখা প্রশাখা এতটাই ভারী যে সেগুলো নিচের দিকে হেলানো থাকে। শাখা-প্রশাখার মত পাতাও বিপ্রতীপ ভাবে বের হয়।
পাতা: কেশরাজের পাতা খুবই ছোট। গাঢ় সবুজ রঙের। লম্বায় ৪ থেকে ৫সে.মি,চিকন। পাতার কোল থেকে প্রশাখা বের হয়। এই প্রশাখার শেষ প্রান্তে ২/৩ টি ফুল ফোঠে।
ফুল: পুল সাদা। অনেক গুলো সাদা সাদা রঙের পরাণ নালী। বৃতি পাচঁটি,সংযুক্ত। ফুল থেকে ফল হয়। ফুল র্অপ কয়েকদিনে ঝরে পড়ে ও ফল বাড়তে থাকে।
ফল: ফল গাঢ় সবুজ। প্লটের মত। ফলের ভেতর অতি ক্ষুদ্র বীজ। বীজের খোসা শুকোনো মাটির মত। খোসার ভেতর ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কালো রঙের অসংখ্য বীজ থাকে। ফল ফেটে বীজ পড়ে চারা গজায়।
উপকারী অংশ: পাতা,কাণ্ড,ফুল ও ফল। এই উদ্ভিদে এ্যালকোলয়েড স্টেরল,ইউডে লোল্যাকটোন,লিউটেইওলিন,গ্লাইকোসাইড,ট্রিটারপেন,গ্লাইকোসাইড এবং ফাইটেস্টেরল বিদ্যমান।
ব্যবহার:
» উদ্ভিদটি জাল দিয়ে নির্যাস তৈরী করে মায়োকার্ডিয়াল ডিপ্রেস্যান্ট ও হাইপোটেনসিভ এবং কয়েকটি পাতা বেটে খেলে কৃমি ও কাশি উপশম হয়।
» উদ্ভিদটির পাতা, ফুল ও ফলসহ সারাদেহ বেটে রস তৈরী করে নিয়মিত কয়েকদিন মাথায় দিলে মাথা ঠাণ্ডা হয়, চুল পড়া বন্ধ হয়, চুল লম্বা ও কালো হয়। প্রতিদিন রসের যোগান দেয়া সম্ভব না হলে এক কাপ রস তৈরী করে ২৫০ মিলিলিটার তিল তেল বা নারকেল তেল মিশিয়ে ব্যবহার করলে একই ফল পাওয়া যায়।
» শরীরের কাটা যাওয়া স্থানে কেশরাজের পাতা বেটে পেস্ট বানিয়ে লাগালে সঙ্গে সঙ্গে রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যায় এবং ধীরে ধীরে কাটা স্থানের ক্ষত শুকিয়ে যায়।
পরিচয়: বর্ষজীবী কেশরাজ গুল্ম জাতীয় উদ্দ্ভিদ।
শাখা: লতানো। শাখা থেকে প্রশাখা বের হয়। শাখা বা প্রশাখা বের হয় বিপরীতভাবে। লম্বায় ৫০ থেকে ৬০ সে.মি. কালছে,রসে ভার ভারী। শাখা প্রশাখা এতটাই ভারী যে সেগুলো নিচের দিকে হেলানো থাকে। শাখা-প্রশাখার মত পাতাও বিপ্রতীপ ভাবে বের হয়।
পাতা: কেশরাজের পাতা খুবই ছোট। গাঢ় সবুজ রঙের। লম্বায় ৪ থেকে ৫সে.মি,চিকন। পাতার কোল থেকে প্রশাখা বের হয়। এই প্রশাখার শেষ প্রান্তে ২/৩ টি ফুল ফোঠে।
ফুল: পুল সাদা। অনেক গুলো সাদা সাদা রঙের পরাণ নালী। বৃতি পাচঁটি,সংযুক্ত। ফুল থেকে ফল হয়। ফুল র্অপ কয়েকদিনে ঝরে পড়ে ও ফল বাড়তে থাকে।
ফল: ফল গাঢ় সবুজ। প্লটের মত। ফলের ভেতর অতি ক্ষুদ্র বীজ। বীজের খোসা শুকোনো মাটির মত। খোসার ভেতর ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র কালো রঙের অসংখ্য বীজ থাকে। ফল ফেটে বীজ পড়ে চারা গজায়।
উপকারী অংশ: পাতা,কাণ্ড,ফুল ও ফল। এই উদ্ভিদে এ্যালকোলয়েড স্টেরল,ইউডে লোল্যাকটোন,লিউটেইওলিন,গ্লাইকোসাইড,ট্রিটারপেন,গ্লাইকোসাইড এবং ফাইটেস্টেরল বিদ্যমান।
ব্যবহার:
» উদ্ভিদটি জাল দিয়ে নির্যাস তৈরী করে মায়োকার্ডিয়াল ডিপ্রেস্যান্ট ও হাইপোটেনসিভ এবং কয়েকটি পাতা বেটে খেলে কৃমি ও কাশি উপশম হয়।
» উদ্ভিদটির পাতা, ফুল ও ফলসহ সারাদেহ বেটে রস তৈরী করে নিয়মিত কয়েকদিন মাথায় দিলে মাথা ঠাণ্ডা হয়, চুল পড়া বন্ধ হয়, চুল লম্বা ও কালো হয়। প্রতিদিন রসের যোগান দেয়া সম্ভব না হলে এক কাপ রস তৈরী করে ২৫০ মিলিলিটার তিল তেল বা নারকেল তেল মিশিয়ে ব্যবহার করলে একই ফল পাওয়া যায়।
» শরীরের কাটা যাওয়া স্থানে কেশরাজের পাতা বেটে পেস্ট বানিয়ে লাগালে সঙ্গে সঙ্গে রক্ত পড়া বন্ধ হয়ে যায় এবং ধীরে ধীরে কাটা স্থানের ক্ষত শুকিয়ে যায়।
নয়ন তারা
বাংলা নাম নয়ন তারা। সংস্কৃত নামও তাই। ইংরেজরা নয়নতারাকে চেনেন
Peri Winkle নামে। নয়নতারার বৈজ্ঞানিক নাম
Vinca rosea (Catharanthus roseus ) এবং পরিবার Apocynaceae..
পরিচয়ঃ নয়নতারা বহু বর্ষীজীবী গুল্ম উদ্ভিদ।
কাণ্ড: গাছ লম্বা দেড় থেকে ৬০ থেকে ৭০ সে.মি.। কান্ড নরম,রসালো ও গাঢ় সবুজ। ডাল পালা এপাশ ও পাশ ছড়ানো। সহজে চারপাশে চড়িয়ে যায়।
পাতা: পাতা গাঢ় সবুজ ৭/৮ সে.মি. লম্বা ও ২/৩ সে.মি প্রসস্ত। পাতার মধ্যে উপশিরা বিদ্যমান। একে কেউ কেউ পয়সা ফুল আবার অনেকে একে বিস্কুট ফুলও বলে থাকেন।
ফুল: সাদা, গোলাপি, হালকা নীল ও সাদার উপর গোলাপী চোখের নয়ন তারা দেখা যায়। ফুল সাদা, গোলাপী, সাদার উপর গোলাপী গন্ধহীণ তবে আকর্ষণীয় হয়ে থাকে। ফুেলর পাচঁটি পাপড়ি । প্রত্যেকটি পাপড়িই ৩ সে.মি. পর্যন্ত চওড়া।দলনল সরূ ,প্রায় আড়াই সে.মি. লম্বা। ফুল সারা বছরই ফোটলেও শরৎ ও বসন্ত ঋতুতে বেশি বেশি ফোটে।ফুল থেকে ফল ও বীজ হয়।
বীজ: বীজ কালো ও অমসৃণ। কালো রঙের বীজ থেকে চারা উৎপাদনের মাধ্যমে বংশ বিস্তার ঘটে। খুবই সহজেই টবে নয়নতারার চাষ করা যায়।
উপকারী অংশঃ নয়নতারা ফুলের গাছে ৬০ টিরও বেশি উপ ক্ষার রয়েছে।এর মধ্যে ভিনক্রিস্টিন ও ভিনব্লাস্টিন লিউকেমিয়া রোগের ওষুধ হিসাবে ব্যবহার করা হয়। দুইটি secoiridoial glucosides,ursolic acid, oleanolic acid আছে।
ব্যবহার: উচ্চ রক্তচাপে নয়নতারার একটি গাছ ও শুকনো মুলের ১ গ্রাম,কাচাঁ হলুদ ২ গ্রাম থেতলে এক কাপ পানিতে সিদ্ধ করে ক্বাথ করে নিয়ে এক চতুর্থাংশ সিদ্ধ কাথ সকাল ও বিকাল দু’বেলা ৮/১০ দিন খেলে রক্ত চাপ কমে। ক্বাথটি ৫/৬ দিন খেলে কৃমির উপদ্রব কমে এবং ১৫/২০দিন খেলে কৃমি থেকে রোগমুক্ত হওয়া যায়। এছাড়া এতে ডায়াবেটিক রোগও নিয়ন্ত্রিত হয়।
অথবা, উচ্চ রক্তচাপ রোগে সাত দিন নয়নতারার পাতা খেলে রক্তচাপ কমে। এক্ষেত্রে প্রথম দিন ১ কাপ গরম পানিতে ১টি, দ্বিতীয় দিন এক কাপ পানিতে ২টি, তৃতীয় দিন ৩টি, চতুর্থদিন ৪টি, পঞ্চমদিন ৫টি, সপ্তম দিন ৭টি পাতা দিয়ে গরম পানি খেতে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আসে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আসলে আর নয়ণতারার পাতা খাওয়ার প্রয়োজন নেই।
পরিচয়ঃ নয়নতারা বহু বর্ষীজীবী গুল্ম উদ্ভিদ।
কাণ্ড: গাছ লম্বা দেড় থেকে ৬০ থেকে ৭০ সে.মি.। কান্ড নরম,রসালো ও গাঢ় সবুজ। ডাল পালা এপাশ ও পাশ ছড়ানো। সহজে চারপাশে চড়িয়ে যায়।
পাতা: পাতা গাঢ় সবুজ ৭/৮ সে.মি. লম্বা ও ২/৩ সে.মি প্রসস্ত। পাতার মধ্যে উপশিরা বিদ্যমান। একে কেউ কেউ পয়সা ফুল আবার অনেকে একে বিস্কুট ফুলও বলে থাকেন।
ফুল: সাদা, গোলাপি, হালকা নীল ও সাদার উপর গোলাপী চোখের নয়ন তারা দেখা যায়। ফুল সাদা, গোলাপী, সাদার উপর গোলাপী গন্ধহীণ তবে আকর্ষণীয় হয়ে থাকে। ফুেলর পাচঁটি পাপড়ি । প্রত্যেকটি পাপড়িই ৩ সে.মি. পর্যন্ত চওড়া।দলনল সরূ ,প্রায় আড়াই সে.মি. লম্বা। ফুল সারা বছরই ফোটলেও শরৎ ও বসন্ত ঋতুতে বেশি বেশি ফোটে।ফুল থেকে ফল ও বীজ হয়।
বীজ: বীজ কালো ও অমসৃণ। কালো রঙের বীজ থেকে চারা উৎপাদনের মাধ্যমে বংশ বিস্তার ঘটে। খুবই সহজেই টবে নয়নতারার চাষ করা যায়।
উপকারী অংশঃ নয়নতারা ফুলের গাছে ৬০ টিরও বেশি উপ ক্ষার রয়েছে।এর মধ্যে ভিনক্রিস্টিন ও ভিনব্লাস্টিন লিউকেমিয়া রোগের ওষুধ হিসাবে ব্যবহার করা হয়। দুইটি secoiridoial glucosides,ursolic acid, oleanolic acid আছে।
ব্যবহার: উচ্চ রক্তচাপে নয়নতারার একটি গাছ ও শুকনো মুলের ১ গ্রাম,কাচাঁ হলুদ ২ গ্রাম থেতলে এক কাপ পানিতে সিদ্ধ করে ক্বাথ করে নিয়ে এক চতুর্থাংশ সিদ্ধ কাথ সকাল ও বিকাল দু’বেলা ৮/১০ দিন খেলে রক্ত চাপ কমে। ক্বাথটি ৫/৬ দিন খেলে কৃমির উপদ্রব কমে এবং ১৫/২০দিন খেলে কৃমি থেকে রোগমুক্ত হওয়া যায়। এছাড়া এতে ডায়াবেটিক রোগও নিয়ন্ত্রিত হয়।
অথবা, উচ্চ রক্তচাপ রোগে সাত দিন নয়নতারার পাতা খেলে রক্তচাপ কমে। এক্ষেত্রে প্রথম দিন ১ কাপ গরম পানিতে ১টি, দ্বিতীয় দিন এক কাপ পানিতে ২টি, তৃতীয় দিন ৩টি, চতুর্থদিন ৪টি, পঞ্চমদিন ৫টি, সপ্তম দিন ৭টি পাতা দিয়ে গরম পানি খেতে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আসে। রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে আসলে আর নয়ণতারার পাতা খাওয়ার প্রয়োজন নেই।
Really appreciated the use of citations. Gives authenticity and made my job a lot easier. Great Article.
ReplyDelete